মোহাম্মদ মাসুদ খান
সাধারন সম্পাদক
মোহাম্মদ মাসুদ খান এর শৈশব-কৈশোর এবং শিক্ষা লাভ রাজধানীতে হলেও জন্ম চাঁদপুর জেলায় ১৯৭০ সালের ২রা ডিসেম্বর।
বাবা আহম্মদ খান ছিলেন সার্ভে অব বাংলাদেশের কারিগরি কর্মকর্তা। মা রহিমা বেগম গৃহিনী। বেড়ে ওঠা রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি আবাসে।
মাসুদ খান শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে এইচএসসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকার ও রাজনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেন।
সাংগঠনিক দক্ষতার পাশাপাশি লেখালেখিতেও তাঁর বিচরণ রয়েছে। তাঁর লেখার চর্চা কিশোর বয়স থেকেই। তিনি ১৯৮৪ সালে শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত ১ম স্কুল বাষির্কী “নবাঙ্কুর” এর প্রথম সহসম্পাদক ছিলেন।
তাঁর লেখা ছড়া, প্রবন্ধ ও ফিচার প্রকাশিত হয়েছে কিশোর বাংলা, মুক্তিবাণী, দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদ, জনকন্ঠ, বাংলার বাণী, জনতা, দেশ, যায় যায় দিনসহ নানা পত্রপত্রিকায়। সাপ্তাহিক নগরী, এই সপ্তাহ ও শিল্প বাজার সহ কয়েকটি পত্রিকায় সাংবাদিকতাও করেছেন। বাংলাদেশ বেতারের উদ্দীপন, অন্বেষা সহ একাধিক অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহন করেছেন।
মোহাম্মদ মাসুদ খানের ১ম ছড়ার গ্রন্থ “ছড়াটিম ছড়াটুম” প্রকাশিত হয়েছে ২০১৭ সালে এবং ২য় গ্রন্থ “আমার দেখা শেরেবাংলা নগর” প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ সালের বাংলা একাডেমী আয়োজিত অমর একুশে বই মেলায়।
রফতানি ব্যবসার সাথে জড়িত মোহাম্মদ মাসুদ খানের প্রতিষ্ঠান “স্টাইল এন্ড স্টিচ” ২০১৮ সালে কিরঘিস্তানে প্রথম রফতানীকারক হিসেবে পোষাক রফতানি করে।
২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ বাংলাদেশ এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশন (বেকা) এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২০২১ সালের বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমের মূল্যায়ন করে বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে স্ব উদ্যোগী হয়ে বন্ধু স্বজনদের নিয়ে সাধারন মানুষকে সহায়তা করায় ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মোহাম্মদ মাসুদ খানকে “বেকা পদক“ এ সম্মানিত করা হয়। এপ্রিল ১৯৯২ সালে শিশু কিশোর সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের মহা সম্মেলনে শ্রেষ্ঠ শিশু সংগঠক হিসেবে তিনি সম্মাননা লাভ করেন। লেখক হিসেবে স্বরচিত ছড়া পাঠ করে পুরস্কৃত হয়েছেন সাপ্তাহিক মুক্তিবানী আয়োজিত সাহিত্য সভা থেকে ১৯৮৮ সালে এবং ২০২০ সালে “অনওয়ার্ড ডেভলপার্স থেকে সম্মাননা পেয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মোহাম্মদ মাসুদ খান বিবাহিত এবং তিনি ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক।